মহাবিশ্বের ইতিকথা - আনোয়ার হোসেন

সৃষ্টির পর থেকেই মানুষ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়েছে আকাশ পানে, হয়েছে বিস্ময়াবিষ্ট। আকাশের অসংখ্য উজ্জ্বল বস্তু মানুষকে যুগে যুগে করেছে অভিভূত, মানুষ চিনতে চেষ্টা করেছে তাদেরকে। আকাশের এই সব উজ্জ্বল বস্তুকে আমরা সাধারণত তারা বললে ডাকলেও তাদের বিভিন্নটির বিভিন্ন নাম আছে। এদের কোনােটি তারা, কোনােটি নীহারিকা, কোনােটি ধূমকেতু বা অন্য কিছু। আমাদের বাসস্থান, আমাদের গ্রহ এই পৃথিবীসহ যা কিছু আছে তা-ই নিয়েই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, মহাবিশ্ব। কীভাবে সৃষ্টি হলাে এই মহাবিশ্ব? কী কী আছে এই মহাবিশ্বে? কেমন করে এল এসব? মানুষ কী করে জানল এত কিছু? কী কী এখনাে অজানা আছে এই পৃথিবীর মানুষের? উপরিউক্ত প্রশ্নগুলাের জবাব নিয়ে এই বই "মহাবিশ্বের ইতিকথা।" অনেক তত্ত্ব, তথ্য, চিত্র ও চার্টসহকারে ইতিকথা উপস্থাপনা করা হলেও এটি কিশাের থেকে শুরু করে সব বয়সী পাঠকদের জন্য অবশ্যই একটি উপযােগী বই।

সেই সৃষ্টির পর থেকেই মানুষ দৃষ্টি মেলে চিনতে চেষ্টা করেছে তার দুনিয়াকে। গােলাকার আকাশ আর সমতল জমিন নিয়েই ছিল তার বিশ্ব। প্রাচীন কাল থেকেই কিছু চিন্তাশীল মানুষ আর বিভিন্ন ধর্ম ও পুরাণ বিশ্ব, এর সৃষ্টি, এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন কাহিনি প্রচার করেছে। যাজক আর শাসকের চাপে পরীক্ষণ আর পর্যবেক্ষণ এগােতে পারেনি। ইউরােপের রেনেসাঁর পর আধুনিক বিজ্ঞানের সূত্রপাতের সাথে সাথে পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষণের সাহায্যে সুস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি হতে থাকে বিশ্ব সম্পর্কে। লেখক অতি বিশ্বস্ততার সাথে সেই ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। আর বর্তমানে নানাবিধ উন্নত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আমাদের দেখা ও অদেখা মহাবিশ্ব, এর আকার ও বয়স, এর বিভিন্ন বস্তু, এর সৃষ্টি ও লয় সম্পর্কে সর্বশেষ গবেষণালব্ধ বৈজ্ঞানিক মতবাদ ও তত্ত্ব সব শ্রেণির পাঠকের উপযােগী করে লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। এই বই আমাদের অনুসন্ধিৎসু কিশাের- কিশােরী থেকে সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে।